সেন্টুর দাফন-কাফনের ব্যয়ও বহন করলেন রাজশাহীর ডিসি


editor প্রকাশের সময় : জুলাই ৫, ২০২৪, ১১:১৫ অপরাহ্ণ /
সেন্টুর দাফন-কাফনের ব্যয়ও বহন করলেন রাজশাহীর ডিসি

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে অক্সিজেনের পাইপ নিয়ে অটোরিকশা চালানো সেই সেন্টু মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় মহানগরীর কলাবাগান সবজিপাড়া এলাকায় তার মৃত্যু হয়। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তার মৃত্যুর খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন। তিনি সেন্টুর বাসস্থান ও চিকিৎসার পাশাপাশি দাফন-কাফনের ব্যয়ভারও বহন করেন।
রাজশাহী জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নির্দেশনা মোতাবেক শুক্রবার দুপুরে পবা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার সেন্টুর স্ত্রী, সন্তান ও দুই মেয়ের হাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান করেন। এ খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পরিবার।
সেন্টুর ছেলে রাকিব জানান, দীর্ঘদিন থেকে শ্বাসকষ্ট, হার্ট ও শ্বাসতন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন তার বাবা। হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১৬ দিন আগে তার বাবাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। সেন্টুকে রামেক হাসপাতালে ভর্তির খবর পেয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক তার বাবার চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে পাঁচ হাজার টাকা পাঠিয়েছিলন।
তিনি বলেন, ডিসি স্যারের সহায়তায় আমার বাবা মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়েছে। এছাড়াও তিনি প্রতি মাসে মাসে খোঁজখবর নিয়েছেন এবং খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে বাবাকে চাচার বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে দেড়টার দিকে বাবা মারা যান। বাদ মাগরিব মহানগরীর হেতেম খাঁ বড় মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে হেতেম খাঁ কবরস্থানে বাবার মরদেহ দাফন করা হয়েছে। আর হাসপাতালে ভর্তি থেকে শুরু করে চিকিৎসাসহ দাফন-কাফনের সব ব্যয় জেলা প্রশাসক স্যার দিয়েছেন। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ।