সংবাদ বিজ্ঞপ্তি : রাজশাহী-৩ (পবা- মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ এক ও অভিন্ন। রোববার আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে লক্ষীপুরে বঙ্গবন্ধরু ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদ বলেন, আওয়ামীলীগ গণমানুষের কথা বলে, আওয়ামীলীগ কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ভাগ্য উন্নয়নে প্রতিনিধিত্ব করে।
এমপি আসাদ বলেন, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে এদেশের স্বাধীনতা দিয়েছে। আর সেই স্বাধীন বাংলাদেশের কিছু কুলাঙ্গারের হাতে বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পরে দেশটি যখন প্রায় পাকিস্তানি কায়দায় চলার উপক্রম, তখন রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার হাত ধরে আওয়ামী লীগ উজ্জীবিত হয়েছে, দেশের মানুষের সমৃদ্ধি ঘটেছে। সংগত কারণেই আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমরা যারা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, আমরা সংগত কারণেই মনে করি, বঙ্গবন্ধু , শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ এক ও অভিন্ন। সেই কারণেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা একই ধারার প্রবাহমান স্রোত। এই স্রোতের সাথে বাংলাদেশের জনগণ মিশে আছে, তাদের ভাগ্য পরিবর্তনে আজকের দিনের অঙ্গীকার সমস্ত ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে। সেই এগিয়ে চলা বাংলাদেশকে আমরা আরও এগিয়ে নেবো এই হোক আজকের দৃপ্ত শপথ।
এসময় রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বাবু অনিল কুমার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাঞ্জাল, রাজশাহী জেলা যুব লীগের সভাপতি মাহমুদ হাসান ফয়সল সজল, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত সৈকতসহ রাজশাহী জেলা কৃষক লীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সকালে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধরু ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং কেক কাটেন এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী, সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আক্তার হাফিজ, নওহাটা পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল প্রমুখ।
এদিকে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলামকে দেখতে যান এমপি আসাদ। দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তার খোঁজ নিতে যান আসাদ।
পরে তিনি রুবেলের বড় ভাই আনজুরুল ইসলামের কাছে তার খোজ খবর নেন। পরে আইসিইউ রুমে গিয়ে তার সার্বিক পরিস্থিতি দেখেন এবং ডাক্তারের সাথে কথা বলেন।
এসময় পবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ডাবলু, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মানজাল, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক আলফর রহমান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলেিগর সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ আল মাসুদ তুহিন, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফায়সাল আহমেদ রনু, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান সাগর উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :