মুলাদীতে ভোট কেনার অভিযোগে প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রার্থিতা বাতিলের দাবি প্রার্থীর


admin প্রকাশের সময় : মে ৯, ২০২৪, ৯:৩২ পূর্বাহ্ণ /
মুলাদীতে ভোট কেনার অভিযোগে প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রার্থিতা বাতিলের দাবি প্রার্থীর

[ad_1]

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশালের মুলাদীতে ভোট কেনার অভিযোগ এনে এক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের দাবি করেছেন অপর চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তারিকুল হাসান খান মিঠু তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জহির উদ্দীন খসরুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেন।

খসরুর বিরুদ্ধে ভোট কেনা, প্রচারণায় সরকারি স্থাপনা ব্যবহার করে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ করেছেন তারিকুল হাসান খান মিঠু। এ ঘটনায় তারিকুল হাসান খান মিঠু গত মঙ্গলবার বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জহির উদ্দীন খসরু ভোট কেনার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, অটোরিকশা ভাড়া ও দোকান পুড়ে যাওয়া ব্যক্তিকে সাহায্য করার দুটি ছবি দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তারিকুল হাসান খান মিঠু বলেন, গত ৬ মে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জহির উদ্দীন খসরু উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের চরপ্মা গ্রামের নলীবাড়ি এলাকায় প্রচারের সময় এক ভোটারকে টাকা দেন। ওই ছবি তিনি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে প্রচার করেছেন।

এতে অন্য ভোটারও প্রভাবিত হতে পারেন। এ ছাড়া ওই প্রার্থী গত ৫ মে কাজীরচর ইউনিয়নে প্রচারণার সময় রাঘুয়া কাজীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ ও প্রধান শিক্ষকের কক্ষ ব্যবহার করেছেন, যা নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থী। তাই ওই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আবেদন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জহির উদ্দীন খসরু বলেন, ভোট কেনার জন্য কাউকে টাকা দেওয়া হয়নি। গত ৬ মে বিকেলে সফিপুর ইউনিয়নে অটোরিকশা ভাড়া দেওয়া এবং দোকান পুড়ে যাওয়া ব্যবসায়ীকে সাহায্য করার সময় সমর্থকেরা ছবি তুলেছেন। ভুলবশত সেই ছবি ফেসবুকে আপলোড হয়েছে। কোনো ভোটারকে প্রভাবিত করা হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জহির উদ্দীন খসরুর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনে প্রার্থিতা বাতিলের দাবি করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, উপজেলার পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে মুলাদীতে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।